
যুক্তরাষ্ট্রে ডিমের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। এই সংকট মোকাবিলায় কয়েক লাখ ডিম আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। তুরস্ক ও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে শিগগিরই আমদানি শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে। এছাড়া আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে চলছে আলোচনা। এতে বাজারে ডিম সরবরাহ স্বাভাবিক হবে বলে আশাবাদী দেশটির সরকার।
যুক্তরাষ্ট্রে দীর্ঘদিন ধরে চলা বার্ড ফ্লুর প্রভাবে ডিমের সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। সংকট চরম রূপ নেয়ায় দেশটির অধিকাংশ দোকানে ডিম ক্রয়ের সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছে। নোটিশ ঝুলিয়ে বলা হয়েছে, ‘চাহিদা ও সরবরাহ কম থাকায় একসঙ্গে দুটি ডিমের বেশি কিনতে পারবেন না।’
২০২২ সাল থেকে শুরু হওয়া এই মহামারিতে দেশটির খামারগুলোতে ১৫ কোটিরও বেশি মুরগি মারা যায়। এতে ডিমের উৎপাদন আকস্মিকভাবে কমে যায়। দামও বেড়ে যায় রেকর্ড পরিমাণ।
এই পরিস্থিতি সামাল দিতে একশ কোটি ডলারের একটি পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এ উদ্যোগের আওতায় আমদানির পাশাপাশি খামারিদের আর্থিক সহায়তা ও খামারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করা হবে।
ডিমের সংকট কাটাতে তুরস্ক ও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে কয়েক লাখ ডিম আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। পাশাপাশি ইউরোপের কয়েকটি দেশ থেকেও আমদানির পরিকল্পনা করছে মার্কিন কৃষি বিভাগ।
এরই মধ্যে পোল্যান্ড ও লিথুয়ানিয়ার সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এই উদ্যোগ সাময়িক উল্লেখ করে প্রশাসন জানায়, দেশীয় খামারগুলো পুনরায় উৎপাদনে ফিরলে আমদানির উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে স্বাভাবিক সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে।
এদিকে বার্ড ফ্লুর বিস্তার রোধে খামারগুলোতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সরকারের অর্থায়নে কৃষি বিভাগের বিশেষ দল পরিদর্শন করছে খামারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
বার্ড ফ্লু রোধে বায়োসিকিউরিটিও বাড়ানো হয়েছে। এর জন্য ৫০ কোটি ডলার বরাদ্দ রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে ১০ কোটি ডলার ব্যয় করা হচ্ছে ভ্যাকসিন গবেষণায় যাতে ভবিষ্যতে এই ধরনের মহামারি এড়ানো যায়।
এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত খামারের জন্য ৪০ কোটি ডলারের একটি আর্থিক সহায়তা কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংকট পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে কয়েক মাস লেগে যেতে পারে।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক 






















