ঢাকা ০৪:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ সার ব্যবসায়ীকে ১ মাসের কারাদণ্ড ও জরিমানা Logo মহাদেবপুরে আদালতের আদেশ অমান্য করে স্থাপনা নির্মাণের চেষ্টা Logo দুর্গাপুরে ‎রাজশাহী-৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন  Logo শীতের গন্ধ, তাপমাত্রা কমছে প্রতিদিন দুই ডিগ্রি ঈশ্বরদীতে দোকানে উঠছে শীতের সোয়েটার-জ্যাকেট, কম্বল Logo পদ্মার চরজুড়ে চলছে ‘অপারেশন ফার্স্ট লাইট’ Logo নীলফামারীতে চার দফা দাবী বাস্তবায়নে বিসিএস প্রভাষক পরিষদের মানবন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন Logo বিএনপি অফিস ভাংচুর মামলায়  ছাত্রলীগ নেতা আটক   Logo দেশের চলমান সব সংকট নাটকের অংশ, মানুষ ভোট দিতে চায়: মির্জা ফখরুল Logo ধেয়ে আসছে মৌসুমের প্রথম কুয়াশা বেল্ট Logo ১৩ নভেম্বর রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ইসির সংলাপ শুরু

চার দেশের পাঁচ লাখের বেশি অভিবাসীর বৈধতা বাতিল করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে যে তারা কিউবা, হাইতি, নিকারাগুয়া এবং ভেনেজুয়েলা থেকে আসা পাঁচ লাখ ৩০ হাজার অভিবাসীর অস্থায়ী বৈধতা বাতিল করতে যাচ্ছে।

ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে, এই অভিবাসীদের থাকার অনুমতি ও বহিষ্কার সুরক্ষা বাতিল হবে আগামী ২৪শে এপ্রিল। এর আগেই তারা যেন দেশটি ছেড়ে চলে যায়, সে বিষয়ে তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে।

মার্কিন ফেডারেল সরকারের এক বিজ্ঞপ্তিতে এমনটাই বলা হয়েছে।

এই পাঁচ লাখ ৩০ হাজার অভিবাসীকে বাইডেন প্রশাসনের সময় চালু হওয়া সিএইচএনভি নামক একটি প্রোগ্রামের আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করার সুযোগ দেয়া হয়েছিল। এর মাধ্যমে বৈধভাবে অভিবাসনের সুযোগ দেয়া হতো।

ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশটির প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এই প্রোগ্রাম স্থগিত করেন।

এই অভিবাসীদের মধ্যে কতজন এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে থাকার জন্য অন্য কোনও ভিসা বা আইনি অবস্থান অর্জন করেছেন, সে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়।

২০২২ সালে ডেমোক্র্যাটিক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের অধীনে শুরু হওয়া এই প্রোগ্রামটি প্রথমে ছিল শুধুমাত্র ভেনেজুয়েলানদের জন্য ছিল।

পরে প্রোগ্রামটি অন্যান্য দেশের জন্যও চালু হয়েছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প

এই প্রোগামের আওতায় এসব অভিবাসী ও তাদের পরিবারের সদস্যদেরকে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের অনুমতি দেওয়া হয়েছিলো এবং তাদেরকে দুই বছরের জন্য অস্থায়ী অভিবাসন মর্যাদা বা প্যারোল প্রদান করা হয়েছিলো।

এটি চালুর বিষয়ে বাইডেন প্রশাসনের যুক্তি ছিল যে সিএইচএনভি প্রোগ্রামটি আমেরিকার দক্ষিণ সীমান্তে অবৈধ অভিবাসন কমাতে সহায়তা করবে। একইসাথে, যারা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করছেন, এই প্রোগ্রামের আওতায় তাদেরকে আরও ভালোভাবে যাচাই করা যাবে।

শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা বিভাগ বাইডেন প্রশাসনের সমালোচনা করেছে এবং জানিয়েছে যে এই কর্মসূচি তার লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছে।

সংস্থাটি থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, বাইডেন প্রশাসন “তাদেরকে (অভিবাসীদের) আমেরিকান চাকরির জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ করে দিয়েছে এবং আমেরিকান শ্রমিকদের ক্ষতিগ্রস্ত করেছে; প্রতারণার ঘটনা চিহ্নিত করা হলেও কর্মচারীদেরকে জোরপূর্বক এই কর্মসূচির প্রচার করতে বাধ্য করেছে এবং পরে অপরাধ বৃদ্ধির দায় রিপাবলিকানদের উপর চাপিয়েছে।”

তবে ফেডারেল রেজিস্টারের ৩৫ পৃষ্ঠার এক নোটিশে বলা হয়েছে যে সিএইচএনভি কর্মসূচির আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে থাকা কিছু ব্যক্তিকে বিশেষ বিবেচনায় থাকার অনুমতি দেওয়া হতে পারে।

এদিকে, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ থেকে পালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নেওয়া প্রায় দুই লাখ ৪০ হাজার ইউক্রেনের নাগরিকদের অস্থায়ী বৈধতা বাতিল করা হবে কি না, সেই বিষয়েও বিবেচনা করতে শুরু করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।

ওই কর্মসূচির আওতায় হাইতি থেকে দুই লাখ ১৩ হাজার, ভেনেজুয়েলা থেকে এক লাখ ২০ হাজার ৭০০, কিউবা থেকে এক লাখ ১০ হাজার ৯০০ এবং নিকারাগুয়া থেকে ৯৩ হাজার অভিবাসীকে ভিসা দেয়া হয়েছিল।

জানুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণের পর একাধিক অভিবাসী কর্মসূচি বাতিল করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও তার বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত আইনি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে।বিবিসি

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ সার ব্যবসায়ীকে ১ মাসের কারাদণ্ড ও জরিমানা

চার দেশের পাঁচ লাখের বেশি অভিবাসীর বৈধতা বাতিল করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

Update Time : ০৪:৪৫:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে যে তারা কিউবা, হাইতি, নিকারাগুয়া এবং ভেনেজুয়েলা থেকে আসা পাঁচ লাখ ৩০ হাজার অভিবাসীর অস্থায়ী বৈধতা বাতিল করতে যাচ্ছে।

ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে, এই অভিবাসীদের থাকার অনুমতি ও বহিষ্কার সুরক্ষা বাতিল হবে আগামী ২৪শে এপ্রিল। এর আগেই তারা যেন দেশটি ছেড়ে চলে যায়, সে বিষয়ে তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে।

মার্কিন ফেডারেল সরকারের এক বিজ্ঞপ্তিতে এমনটাই বলা হয়েছে।

এই পাঁচ লাখ ৩০ হাজার অভিবাসীকে বাইডেন প্রশাসনের সময় চালু হওয়া সিএইচএনভি নামক একটি প্রোগ্রামের আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করার সুযোগ দেয়া হয়েছিল। এর মাধ্যমে বৈধভাবে অভিবাসনের সুযোগ দেয়া হতো।

ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশটির প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এই প্রোগ্রাম স্থগিত করেন।

এই অভিবাসীদের মধ্যে কতজন এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে থাকার জন্য অন্য কোনও ভিসা বা আইনি অবস্থান অর্জন করেছেন, সে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়।

২০২২ সালে ডেমোক্র্যাটিক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের অধীনে শুরু হওয়া এই প্রোগ্রামটি প্রথমে ছিল শুধুমাত্র ভেনেজুয়েলানদের জন্য ছিল।

পরে প্রোগ্রামটি অন্যান্য দেশের জন্যও চালু হয়েছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প

এই প্রোগামের আওতায় এসব অভিবাসী ও তাদের পরিবারের সদস্যদেরকে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের অনুমতি দেওয়া হয়েছিলো এবং তাদেরকে দুই বছরের জন্য অস্থায়ী অভিবাসন মর্যাদা বা প্যারোল প্রদান করা হয়েছিলো।

এটি চালুর বিষয়ে বাইডেন প্রশাসনের যুক্তি ছিল যে সিএইচএনভি প্রোগ্রামটি আমেরিকার দক্ষিণ সীমান্তে অবৈধ অভিবাসন কমাতে সহায়তা করবে। একইসাথে, যারা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করছেন, এই প্রোগ্রামের আওতায় তাদেরকে আরও ভালোভাবে যাচাই করা যাবে।

শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা বিভাগ বাইডেন প্রশাসনের সমালোচনা করেছে এবং জানিয়েছে যে এই কর্মসূচি তার লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছে।

সংস্থাটি থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, বাইডেন প্রশাসন “তাদেরকে (অভিবাসীদের) আমেরিকান চাকরির জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ করে দিয়েছে এবং আমেরিকান শ্রমিকদের ক্ষতিগ্রস্ত করেছে; প্রতারণার ঘটনা চিহ্নিত করা হলেও কর্মচারীদেরকে জোরপূর্বক এই কর্মসূচির প্রচার করতে বাধ্য করেছে এবং পরে অপরাধ বৃদ্ধির দায় রিপাবলিকানদের উপর চাপিয়েছে।”

তবে ফেডারেল রেজিস্টারের ৩৫ পৃষ্ঠার এক নোটিশে বলা হয়েছে যে সিএইচএনভি কর্মসূচির আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে থাকা কিছু ব্যক্তিকে বিশেষ বিবেচনায় থাকার অনুমতি দেওয়া হতে পারে।

এদিকে, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ থেকে পালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নেওয়া প্রায় দুই লাখ ৪০ হাজার ইউক্রেনের নাগরিকদের অস্থায়ী বৈধতা বাতিল করা হবে কি না, সেই বিষয়েও বিবেচনা করতে শুরু করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।

ওই কর্মসূচির আওতায় হাইতি থেকে দুই লাখ ১৩ হাজার, ভেনেজুয়েলা থেকে এক লাখ ২০ হাজার ৭০০, কিউবা থেকে এক লাখ ১০ হাজার ৯০০ এবং নিকারাগুয়া থেকে ৯৩ হাজার অভিবাসীকে ভিসা দেয়া হয়েছিল।

জানুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণের পর একাধিক অভিবাসী কর্মসূচি বাতিল করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও তার বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত আইনি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে।বিবিসি