বাংলাদেশে পৌঁছানোর পরপরই নিজের শেকড়ের টানে ছুটে গিয়েছিলেন গ্রামের বাড়িতে। সেখানকার মানুষের উষ্ণ অভ্যর্থনা গ্রহণের পর, ২৬ ঘণ্টা কাটিয়ে মঙ্গলবার রাতে ঢাকায় ফেরেন ব্রিটিশ-বাংলাদেশি ফুটবলার হামজা চৌধুরী। এরপর আজ (১৯ মার্চ) জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরার সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে যোগ দেন শেফিল্ড ইউনাইটেডের এই তারকা ফুটবলার।
তবে সংবাদ সম্মেলনে কোচ কাবরেরা জানান, ভারতের বিপক্ষে আসন্ন ম্যাচে হামজাকে শুরুর একাদশে রাখা হবে কি-না, তা এখনো নিশ্চিত নয়। তিনি বলেন, ‘আমাদের এখনও পাঁচটি ট্রেনিং সেশন বাকি আছে। আমরা চূড়ান্ত লাইনআপ ঠিক করিনি। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করবো হামজার জন্য।’
এদিকে, গতকাল দলের সঙ্গে সৌদি আরব থেকে ঢাকায় না ফেরায় ফাহামিদুল ইসলামকে নিয়ে চর্চা হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। তাকে স্কোয়াড থেকে বাদ দেওয়ায় হচ্ছে তুমুল সমালোচনা। শোনা যাচ্ছিল, এতো সমালোচনার মুখে শেষ মুহূর্তে ফেরানো হতে পারে ইতালিতে থাকা এই ফুটবলারকে।
তবে কাবরেরা সাফ জানিয়ে দিলেন ফিরছেন না ফাহামিদুল। তিনি বলেন, আমি মনে করি ফাহমিদুলের পরিস্থিতি অনেকটাই ভিন্ন। আমি তাকে খুব ভালো করেই চিনি। তাকে আমিই দলের জন্য ডেকেছিলাম। সে মেধাবী খেলোয়াড়, তার সেই ধরনের যোগ্যতা রয়েছে জাতীয় দলকে প্রতিনিধিত্ব করার। আমার মনে হয় তার আরও সময় প্রয়োজন, জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়াতে। তার দলে ফেরার কোনো সম্ভাবনা নেই।
আর দলে হামজাকে পাওয়ার পর তার ভাষ্য, হামজা যোগ দেওয়াতে আমরা এখন আগের চেয়ে শক্তিশালী। তার মতো বিশ্ব মানের লিগে খেলা একজন ফুটবলারের দলে যোগ দেওয়াতে আমরা বেশ অনুপ্রাণিত। আমরা মানসিকভাবে অনেক এগিয়ে। কীভাবে আমরা পরিকল্পনা করব, সেই বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা পেয়েছি। কীভাবে আমরা সেরা খেলা উপহার দিতে পারি, সেদিকেই মনোযোগ সবার।’